যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সংকটের সুযোগ নিয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও চালকরা রোগীদের জিম্মি করে রেখেছেন। সরকারি তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও রোগীরা সেগুলোর দেখা পান না। ফলে বাধ্য হয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিতে হয়, যেখানে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সরকারি তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও দুটি পুরনো এবং প্রায়ই বিকল থাকে। নতুন একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স ২০২৩ সালে যুক্ত হলেও এটি খুব কমই দেখা যায়। ফলে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা বা ঢাকায় নিতে বাধ্য হয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান নেয় ৬০-৭০টি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স। এসব অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মচারী ও পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
খুলনায় যেতে ৪ হাজার এবং ঢাকায় যেতে ৮-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হয়। এছাড়া, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা মাসোহারা গ্রহণের মাধ্যমে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলোর জন্য বাজার তৈরি করে রেখেছেন।
চৌগাছার তারনিবাস গ্রামের রোগী বিলকিসের স্বজন হাবিবুর রহমান জানান, হাসপাতাল থেকে রোগী স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় না, ফলে বাধ্য হয়ে বেশি খরচ করে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স নিতে হয়।
প্রশাসনের ব্যর্থতাসরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতাল এলাকায় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো যত্রতত্র রাখা হয়, যা যানজটের অন্যতম কারণ। হাসপাতাল প্রশাসন এদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. হিমাদ্রি শেখর সরকার বলেন, “নতুন অ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে, তবে একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা বাড়ানো হলে সেবার মান আরও উন্নত হবে।”