ইরানের দাবি: হামলার আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল পারমাণবিক উপাদান

আরো পড়ুন

মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা টার্গেট হলেও, সেগুলোতে কোনো তেজস্ক্রিয় উপাদান ছিল না বলে জানিয়েছে তেহরান। ইরানি সরকারের দাবি, হামলার পূর্বেই ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইস্পাহান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো থেকে সকল পারমাণবিক উপাদান সরিয়ে নেওয়া হয়।

তেহরান আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে। আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ‘তাসনিম’ কোম প্রদেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানায়, ভূগর্ভস্থ ফোরদো কেন্দ্রে আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কেন্দ্রটি মাটির নিচে থাকায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি

এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে দাবি করেন, “আমরা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সফল হামলা চালিয়েছি। ফোরদোর ২৬২ ফুট গভীরে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। সব বিমান নিরাপদে ফিরে এসেছে।”

অন্যদিকে ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘ইরনা’ এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের উপ-রাজনৈতিক পরিচালক হাসান আবেদিনি জানিয়েছেন, “আমরা আগেই ওই তিনটি কেন্দ্র খালি করে দিয়েছিলাম। তাই ট্রাম্পের দাবি আংশিক সত্য হলেও পারমাণবিক ক্ষতি হয়নি।”

তবে এই হামলা নিয়ে এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের দাবি সঠিক হলে, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল মূলত কৌশলগত ও মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব সৃষ্টি করা। যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত ইঙ্গিত দিতে চায়—ইরানের পরমাণু সক্ষমতা তাদের নজরে রয়েছে এবং প্রয়োজনে সরাসরি আঘাত হানা সম্ভব।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ