মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে, ইরান-ইসরায়েল মুখোমুখি সংঘাতে বিপর্যয়

আরো পড়ুন

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থার মতো উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা লক্ষ্যবস্তু হওয়ার পর পাল্টা জবাবে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তেহরান। এসব মিসাইল ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরের দিকে ছোড়া হয়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনেক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করলেও কিছু মিসাইল তেল আবিবসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিস্ফোরিত হয়, যাতে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ইরানের কাছে বর্তমানে ৩ হাজারের বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই দ্রুতগামী ও দূরপাল্লার। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব মিসাইল মাত্র ১২-১৫ মিনিটে ইসরায়েলের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গত তিন দশকে ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে অত্যাধুনিকভাবে গড়ে তুলেছে। তাদের সংগ্রহে রয়েছে স্বল্প, মধ্যম ও দূরপাল্লার মিসাইল, যা স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে উৎক্ষেপণযোগ্য এবং ২,০০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে হামলা চালাতে সক্ষম।

চলমান সংঘাতে ইরান ফাত্তাহ-১ সিরিজের হাইপারসনিক মিসাইলও ব্যবহার করছে, যার গতি শব্দের গতির ১৫ গুণ (ম্যাক ১৫)। ইরানের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার দাবি অনুযায়ী, ইসরায়েলকে মাত্র ৮ মিনিটে ধ্বংস করা সম্ভব এই মিসাইল দিয়ে।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এই সংঘাত পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ