জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সদুল্যাপুর গ্রামে আনিচুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ, বাড়ি দখল, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কিবরিয়ার আদালতে আনিচুর রহমানের স্ত্রী রুমা বেগম করেন। আদালত অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এসকে মোমিনুল ইসলাম আমিনুল।
মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের ভাই নান্নু চাকলাদার, বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ এসআই আসাদুজ্জামান, বর্তমান টু-আইসি এএসআই আলিমুজ্জামান, সদুল্যাপুর গ্রামের আমিনুর রহমান খান ও মোমিনুর রহমান খান, বসুন্দিয়া গ্রামের রুবেল, জগন্নাথপুর গ্রামের আকাশ মীর, রজিব খান, এবং বাঘারপাড়া উপজেলার হারুন মোল্লা।
মামলার বিবরণ:
আনিচুর রহমান ও তার ভাইদের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। দুই ভাই আমিনুর ও মোমিনুর সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করায় আনিচুর রহমান দেওয়ানী আদালতে মামলা করেন। এ বছরের ২৭ জুন আদালতে হাজিরা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামি মোমিনুর রহমান ও হারুন মোল্লা আনিচুর রহমানের মোটরসাইকেলের পথরোধ করেন। অজ্ঞাত কয়েকজনের সহায়তায় তাকে ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যশোর শহরের চিত্রা মোড়ে একটি আবাসিক হোটেলের নিচে নিয়ে যান।
সেখানে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভয় দেখানো হয়। পরে আসামি নান্নু চাকলাদার ঘটনাস্থলে এসে তাকে বাড়ি থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশ না মানলে তাকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় আনিচুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসামিদের সহযোগীরা ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
ঘটনার পর রুমা বেগম জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেন। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আসাদুজ্জামান ও এএসআই আলিমুজ্জামান কোনো ব্যবস্থা নেননি। প্রভাবশালী আসামিদের কারণে ভুক্তভোগী পরিবার তখন আইনি পদক্ষেপ নিতে সাহস পাননি। বর্তমান পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় রুমা বেগম আদালতে মামলা করেছেন।
আদালত অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, যা পিবিআই সম্পন্ন করবে।
জাগো/মেহেদী

