যশোর সরকারি সিটি কলেজের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইয়ামিন আলীকে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুব আলমের সই করা প্রজ্ঞাপনটি গত ২১ নভেম্বর জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে তিনি সিটি কলেজ থেকে দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। অন্যথায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অবমুক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।
অধ্যক্ষ ইয়ামিন আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পলাতক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। আগের সরকারের সময়ে তিনি পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং রেলমন্ত্রীর জনসভায় নিয়মিত অংশ নিতেন। তার বক্তৃতায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি জিয়া’ বলে সম্বোধন করতেন।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনে ইয়ামিন আলী সরকারের পক্ষে অবস্থান নেন এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের হুমকি দিয়ে নোটিশ জারি করেন। কিন্তু ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পাংশায় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে পালিয়ে যান।
পরে ১ অক্টোবর তাকে জামালপুরের আশেক মাহমুদ কলেজে বদলি করা হয়। এক মাসের মধ্যে তিনি উচ্চ পর্যায়ের তদবির করে যশোর সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান এবং ৭ নভেম্বর যোগদান করেন।
তবে তার যোগদানের পর থেকেই সিটি কলেজের শিক্ষক ও স্থানীয় মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে তিনি তদবিরে ব্যস্ত ছিলেন। গতকাল সোমবারও তাকে কলেজে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।
অবশেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাকে ওএসডি করা হয়েছে।
জাগো/মেহেদী