আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক ধারা পুনর্স্থাপন এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিভিন্ন মতামত উঠে এসেছে।
সংবিধান সংশোধনের প্রশ্নে বিশ্লেষকরা নানা মত পোষণ করছেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ জানিয়েছেন যে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং ছাত্র-জনতার মতামত গ্রহণ করা হবে।
জেড আই খান পান্না, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বলেন যে বর্তমান সংবিধান ১৯৭১ সালের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছিল এবং এটি শাসক শ্রেণির শোষণকে সমর্থন করে। তিনি মনে করেন, সংবিধানে পরিবর্তন আনা জরুরি, বিশেষত আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। তবে সম্পূর্ণ নতুন সংবিধান রচনা করার পরিবর্তে সংবিধানে পরিবর্তন আনা অধিক কার্যকর হতে পারে।
ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুজন সম্পাদক, মনে করেন যে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন। তিনি বলেন, পুরো সংবিধান বাদ দিয়ে নতুন করে রচনা করা সময়সাপেক্ষ হতে পারে, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন যেমন নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন যে বৈষম্য এখনো চলমান এবং নতুন সংবিধানে মৌলিক অধিকারের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। তিনি মনে করেন যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকারের উন্নতি করা উচিত এবং সংবিধানের ব্যাখ্যা আসা প্রয়োজন প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে।

