যশোর প্রতিনিধি:
যশোরের অভয়নগরে আলোচিত ‘ব্যবসায়ীকে বালিতে পুঁতে ৪ কোটি টাকা আদায়’ অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেছেন নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান দপ্তরীর স্ত্রী লাবণ্য রহমান।
শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ী ও মেসার্স আফ্রিদী এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহনেওয়াজ কবির টিপু দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর শত শত কোটি টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টা করলেই তিনি কল্পিত গল্প সাজিয়ে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে ঘুরিয়ে দেন। এর অংশ হিসেবে তার স্বামীসহ কয়েকজনের নামে এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
লাবণ্য রহমান জানান, তার স্বামী ব্যবসায়িক লেনদেনের একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছেন, চাঁদাবাজি করেননি। জনি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান শাহনেওয়াজ কবির টিপুর কাছে গম ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী লাভ বা মূলধন ফেরত না দেওয়ায় চাপ দিলে কয়েক ধাপে ৪ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এর মধ্যে মফিজুর রহমান দপ্তরীর ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়া টাকা সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, পাওনা টাকার কিছু অংশ ফেরত পেলেও এখনও জনি এন্টারপ্রাইজের প্রায় ২০ লাখ টাকা বাকি রয়েছে। অথচ ঘটনার প্রায় এক বছর পর টিপু তার স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করিয়ে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছেন।
লাবণ্য রহমান দাবি করেন, টিপুর কাছে নওয়াপাড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা শত শত কোটি টাকা পাবেন এবং এ জন্য তিনি নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ব্যবসায়ীদের নামে লিখে দিয়েছেন। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাংবাদিকদের সরেজমিন অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।