নাশকতার মামলায় অমিত-সাবুসহ ৯২ বিএনপি নেতাকর্মীর অব্যাহতি চাইল পুলিশ

আরো পড়ুন

নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা একটি বহুল আলোচিত মামলা থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ মোট ৯২ জন নেতাকর্মীর অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে এই ৯২ জন নেতাকর্মীর জড়িত থাকার কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওয়াহিদুজ্জামান গতকাল (সোমবার) আদালতে এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনায় যুক্ত থাকার অভিযোগের কোনো ভিত্তি মেলেনি।
যে ৯২ জনের অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— সাবেক পৌর মেয়র বিএনপি নেতা মারুফুল ইসলাম মারুফ, মনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, কাজী আজম, শফিয়ার রহমান, হাজী আনিসুর রহমান মুকুল, আব্দুস সামাদ আজাদ, এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ, সদস্য সচিব আনছারুল হক রানা, আঞ্জারুল হক, আমিনুর রহমান মধু, নাজমুল হোসেন বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাজিদুর রহমান সাগর, সৌআল রশিদ ডেনি, মীর মিজান, সাইদুর রহমান, শিমুল হোসেন কুদ্দুস, জাকির হোসেন এবং রিপন হোসেন বাহাদুর প্রমুখ
* ঘটনা: গত ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে যশোরের কোতোয়ালি থানা পুলিশ সদরের হামিদপুর বাজারের পাশে যশোর–নড়াইল মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করছিল।
* গ্রেপ্তার: এ সময় লিটন ট্রাভেলস ও শিবচর স্টার ডিলাক্সের দুটি যাত্রীবাহী বাসকে থামার সংকেত দেওয়া হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাস দুটির ভেতর থেকে কয়েকজন জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। সেসময় দুই বাসে থাকা ৭৮ জনকে আটক করা হয়।
* উদ্ধার: বাস তল্লাশি করে পুলিশ ককটেল, পেট্রোল ও লাঠি উদ্ধার করে।
* মামলা: এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন।
* পরবর্তী সংযোজন: মামলার তদন্তকালে সন্দেহের ভিত্তিতে আরও ২৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাদের সবার অব্যাহতি চাওয়া হলো।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ