আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন যে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ অচিরেই ঘোষণা করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “অপেক্ষা করুন, কিছু দিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা শুনবেন। নির্বাচন কমিশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, তবে সরকারের তরফ থেকে আমাদের দৃঢ় নিয়ত হলো—বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়া।”
তিনি আরও জানান, সরকার সব প্রস্তুতি নিচ্ছে যেন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক হয়। তিনি সরকারের সদিচ্ছার কথা তুলে ধরে বলেন, “আমাদের এমন কোনো উদ্যোগ নেই, যা নেওয়া হয়নি।”
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, আগামী রমজানের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বিরোধী রাজনৈতিক জোটসমূহ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ও তফসিল দ্রুত ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে।
এরই মধ্যে ২৬ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার তৃতীয় দিনেই প্রধান উপদেষ্টা চার–পাঁচ দিনের মধ্যে সময়সূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)–এর চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “চার–পাঁচ দিনের মধ্যেই নির্বাচন নিয়ে ঘোষণা আসবে”। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও নির্বাচন কমিশন বা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
সংবাদ সম্মেলনে ২০০৮ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠলে ড. আসিফ নজরুল বলেন, “বলা হয় ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন নেই, আমি বলি—প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট অবকাশ আছে। অনেক ভয়াবহ তথ্য আছে সে নির্বাচন ঘিরে, যা সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করলে পেতে পারেন।” তবে তিনি সেই তথ্যে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।
উল্লেখ্য, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে সরকার গঠন করে। এরপরের নির্বাচনগুলোতে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক
তৈরি হয়।

