ঝিকরগাছায় এসিড হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনো পলাতক, গ্রেফতারে তৎপর র‍্যাব-পুলিশ

আরো পড়ুন

যশোরের ঝিকরগাছায় প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় এক তরুণী এবং তার পরিবারের উপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন এখনো অধরা। তার গ্রেফতারে পুলিশ ও র‍্যাব একাধিক অভিযান চালালেও এখন পর্যন্ত তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ৮টার পর উপজেলার গদখালী এলাকার মঠবাড়ি গ্রামে। স্থানীয় জামাত হোসেনের মেয়ে রিপা খাতুন (২৬) দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী জসিমের প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন রাতে জানালার ফাঁক দিয়ে রিপা, তার ছোট ভাই ইয়ানূর (৮) এবং মা রাহেলা বেগমের (৫০) ওপর এসিড নিক্ষেপ করে জসিম। এসিডে তিনজনই দগ্ধ হন।

ঘটনার পরপরই জসিম পালিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার (৫ জুলাই) ভুক্তভোগীর পরিবার ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ গাজী জানান, “আমরা ঘটনার পর থেকেই অভিযান চালাচ্ছি। এমনকি সীমান্তবর্তী বেনাপোল এলাকাতেও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছি। একটুর জন্য জসিমকে ধরা যায়নি। তবে আমরা আশাবাদী, খুব শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করতে পারব।”

র‍্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. রাসেল বলেন, “র‍্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, জসিম যশোর জেলা ছেড়ে পালিয়েছে। তবে যেখানে সে অবস্থান করছে, সেখানে র‍্যাবের একটি বিশেষ টিম কাজ করছে।”

এই নির্মম ঘটনার পর আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন এবং তার নির্দেশে দলের ‘নারী ও শিশু সহায়তা সেল’ ভুক্তভোগীদের জন্য বিনামূল্যে আইনি ও চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছে।

অমিত বলেন, “নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা ও সহায়তার জন্য সারাদেশে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। যশোরে এই ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের টিম ভুক্তভোগীদের বাড়িতে গিয়েছে। দোষী ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

এদিকে এখনো জসিমের গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আহত পরিবার ও এলাকাবাসী। তারা দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ