জামায়াতের নিবন্ধন বৈধতা নিয়ে শুনানি শেষ, রায় ১ জুন

আরো পড়ুন

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক (দাঁড়িপাল্লা) পুনরুদ্ধারের আপিল মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আগামী ১ জুন এই বিষয়ে রায় ঘোষণা করবে।

বুধবার (১৪ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন।

জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

আদালতে দলটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়েরসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের একাধিক নেতা।

গত ১২ মার্চ শুরু হওয়া আপিল শুনানির এটি ছিল শেষ দিন। এর আগে ১৩ মে তৃতীয় দিনের শুনানি শেষে ১৪ মে রায়ের তারিখ নির্ধারিত হয়।

২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ জামায়াতের খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে, যা দলটির আইনি লড়াইয়ের পথ খুলে দেয়।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট এক রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে।

পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে মূল আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে আপিল খারিজ করে। একই বছর ১ আগস্ট সরকার জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, যা পরে ২৮ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হয়।

আগামী ১ জুনের রায়ে নির্ধারিত হবে—জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে পুনরায় বৈধতা ও প্রতীক ফিরে পাবে কি না। নির্বাচনপূর্ব প্রেক্ষাপটে এই রায় রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

 

আরো পড়ুন

সর্বশেষ