প্রেমিকার বিয়ের রাতে মেয়ের পরিবারের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন মারুফ হোসেন (১৮) নামে এক যুবক। তিনি যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আলমনগর গ্রামের বাসিন্দা ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মারুফের সঙ্গে একই ইউনিয়নের এক স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করে বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে। তবে মেয়ের পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়নি। বুধবার রাতে মেয়ের পরিবারের লোকজন গোপনে অন্যত্র মেয়ের বিয়ের আয়োজন করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেয়।
এ ঘটনার পর মেয়ের পরিবারের সন্দেহ পড়ে মারুফের ওপর। ধারণা করা হয়, তিনিই ফোন করে পুলিশ ডেকে বিয়ে বন্ধ করেছেন। এরপর একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়।
পরে স্থানীয়রা ও পরিবারের সদস্যরা মারুফকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত মারুফ অভিযোগ করেছেন, মেয়েটির পিতা এই হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।