ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু, নদীতে ভেসে উঠল মরদেহ

আরো পড়ুন

  1. ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে ওয়াসিম (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। হত্যার পর তার মরদেহ ইছামতি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। শুক্রবার নদীতে মরদেহটি ভেসে ওঠে।

নিহত ওয়াসিম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের বুনোপাড়ার বাসিন্দা এবং রমজান আলীর ছেলে। পরিবারের সদস্যরা জানান, ওয়াসিম ৩-৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন এবং মাঝে মাঝে ভারতে ধান কাটার কাজে যেতেন।

শুক্রবার দুপুরে হুদাপাড়া গ্রামের এক কৃষক মাঠে যাওয়ার সময় নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে নদীর ভারতীয় অংশে মরদেহটি থাকায় রাত পর্যন্ত তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ওয়াসিমের সঙ্গী সলেমানপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান, কাঞ্চনপুর গ্রামের রাজু, বাঘাডাঙ্গার শাবুদ্দিন, মানিক ও আব্দুল ওয়াহেদ পালিয়ে এসে মরদেহটি ওয়াসিমের বলে নিশ্চিত করেন। তারা জানান, গত ৮ এপ্রিল ধান কাটার উদ্দেশ্যে ওয়াসিমসহ কয়েকজন ভারত পাড়ি দেন। ফেরার পথে হাবাসপুর এলাকায় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে। অন্যরা পালাতে পারলেও ওয়াসিম ধরা পড়েন এবং পরে নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।

ওয়াসিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান জানান, তার ভাই নিখোঁজ থাকলেও কয়েকজনের কাছ থেকে জানতে পারেন যে, তিনি বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছিলেন। ওয়াসিমের পিতা রমজান আলী শুক্রবার রাতে বিভিন্ন সূত্রে মরদেহ শনাক্ত হওয়ার কথা শুনে দ্রুত মরদেহ উদ্ধারের দাবি জানান এবং শনিবার সকালে ৫৮ বিজিবি’র কোম্পানি কমান্ডারের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেন।

এ বিষয়ে ৫৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানান, মরদেহটি ভারতীয় অংশে থাকায় উদ্ধার করা যায়নি। বিএসএফকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখনো মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি এবং নিখোঁজ কোনো বাংলাদেশি পরিবারের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা বলেন, নদীর ভারতীয় অংশে একটি মরদেহ ভাসছে বলে শুনেছি, তবে পরিচয় মেলেনি। মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধাও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ