সাবেক কাউন্সিলর জিয়া উদ্দিন পলাশের নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রইস উদ্দিনের সহযোগীরা পলাশের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা পলাশের অপহরণের কথা জানিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিছুক্ষণ পর পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে পলাশ কথা বললেও তার অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেননি। পরে ফোন কেটে দেওয়া হয়।
এলাকাবাসীর সূত্র অনুযায়ী, মাগরিবের নামাজ শেষে পলাশ তেঁতুলতলা জামে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাকে রইস উদ্দিন ও তার সহযোগীরা ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাত ১০টার দিকে বেঙ্গল রেলগেট সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘরে পলাশকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমাদুল করিম জানান, পলাশকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় সন্দেহভাজন রইস উদ্দিনকে এলাকাবাসী ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। রইসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পলাশের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও মামলা করা হয়নি, তবে পুলিশ অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। নিহতের জানাজা রবিবার মাগরিবের নামাজ শেষে তেঁতুলতলা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এবং পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এ হত্যাকাণ্ড এলাকার মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

