২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ১৮১ জন আরোহী (১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু) সহ একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন এবং মাত্র ২ জন প্রাণে বেঁচে গেছেন।
দুর্ঘটনার বিবরণ:
- জেজু এয়ারের ৭সি২২১৬ ফ্লাইটটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ান এবং ২ জন থাই নাগরিকসহ যাত্রা করে।
- সিউল থেকে প্রায় ২৮৮ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের দেওয়ালে ধাক্কা মারে।
- ধাক্কার পরেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
- দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার কাজ শুরু হয় এবং ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজন যাত্রী এবং একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট।
দুর্ঘটনার কারণ:
- প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পাখির সাথে সংঘর্ষের কারণে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা হয়েছিল।
- ফুটেজে দেখা গেছে, অবতরণের সময় চাকা মাটিতে স্পর্শ না করায় বিমানটি রানওয়েতে পিছলে যায়।
- কিছু ভিডিওতে বিমানটিকে “বেলি ল্যান্ডিং” (ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়া অবতরণ) করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
উদ্ধার তৎপরতা ও প্রতিক্রিয়া:
- দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন।
- তার চিফ অব স্টাফ এই ঘটনা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
- দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং জীবিতদের উদ্ধারের জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করে।
এই দুর্ঘটনাটিকে দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।