-
নবজাতকদের শরীর:
- পেটের নিচ থেকে তারা পরস্পরের সাথে যুক্ত।
- পেটের উপরিভাগ স্বাভাবিক।
- একটি পেট ও একটি পুরুষাঙ্গ।
- তিনটি পা, যার মধ্যে একটি পায়ে আটটি আঙুল।
শনিবার রাত ১টার দিকে বাড়িতেই নবজাতকদ্বয়ের জন্ম হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা তাদের দেখতে ভিড় করে। মা মিতা বর্তমানে দ্বারিয়াপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন, তবে নবজাতকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল হাই জানান, নবজাতকদ্বয় অস্বাভাবিকভাবে জন্ম নিয়েছে এবং তাদের মলদ্বার পাওয়া যায়নি।
নবজাতকদের পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। পিতা হামিদ শেখ একজন রাজমিস্ত্রির যোগাল (সহকারী) হিসেবে কাজ করেন। অভাবের তাড়নায় তাদের এক মেয়েকে তার খালার কাছে মানুষ হতে হচ্ছে। এমতাবস্থায়, নবজাতকদের চিকিৎসার খরচ বহন করা তাদের পক্ষে কঠিন।
এই ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং নবজাতকদের পরিবারের জন্য সাহায্যের প্রয়োজন।
এই ঘটনার আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- চিকিৎসা: নবজাতকদের জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজন। ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সম্ভবত আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তরের প্রয়োজন হতে পারে।
- পারিবারিক অবস্থা: পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র হওয়ায় তাদের চিকিৎসার খরচ বহন করা কঠিন। সমাজের বিত্তবান এবং সরকারি সহায়তা এই পরিবারটির জন্য খুবই জরুরি।
- সামাজিক প্রভাব: এই ঘটনাটি সমাজে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং মানুষের মধ্যে সহানুভূতি ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
এই নবজাতকদের এবং তাদের পরিবারের জন্য আমাদের সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি।
জাগো/মেহেদী