বহিষ্কৃত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকৃতি ইসকনের

আরো পড়ুন

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী আজ ঢাকার স্বামীবাগ আশ্রমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের কর্মকাণ্ড একান্তই তার ব্যক্তিগত, এবং এর জন্য ইসকন কোনোভাবেই দায়ী নয়।

ইসকনের বক্তব্য

চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহু আগেই ইসকন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, শিশু নির্যাতন এবং সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ইসকনকে দায়ী করা অযৌক্তিক। তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার ঘটনায় ইসকনকে অন্যায়ভাবে জড়ানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভারতের কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার মন্তব্যের সঙ্গেও ইসকনের কোনো সম্পর্ক নেই।”

গ্রেপ্তার ও মামলা

গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ফিরোজ খান চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর নিউমার্কেট মোড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, যা জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

চিন্ময়ের বক্তব্য

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস একটি ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাবির পক্ষে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালানো হচ্ছিল, যা কোনোভাবেই রাষ্ট্রবিরোধী নয়। তিনি অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার একটি অপচেষ্টা।

ইসকনের অবস্থান

ইসকন জানায়, চিন্ময়ের কর্মকাণ্ড ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সংগঠনটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পক্ষে থাকলেও কোনো ব্যক্তির বিতর্কিত কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না।

চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যার ঘটনা এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সম্পৃক্ততা নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। তবে ইসকন স্পষ্ট করেছে যে চিন্ময়ের কাজ এবং বক্তব্য তাদের প্রতিনিধিত্ব করে না।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ