রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার, মাদক চোরাচালান ও পারিবারিবারিক সহিংসতাসহ নানা কারণে চলতি বছরে যশোরে অর্ধশত খুনের ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ হত্যার কারণ উদঘাটন এবং খুনিদের আটক করতে পেরেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও পিবিআই। তবে কয়েকটি গুপ্ত হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের পরিচয় ও খুনিদের চিহ্নিত তারা করতে পারেনি। এসব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে যশোর শহর ও শহরতলীতে বেশি সম্পৃক্ততা দেখা গেছে কিশোর সন্ত্রাসীদের।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোলে তিন কোটি টাকার সোনার বার আত্মসাতের অভিযোগে ওমর ফারুক সুমন নামে এক যুবককে অপহরণের পর পিটিয়ে হত্যা করে মাগুরায় লাশ ফেলে দেয় চোরাকারবারিরা। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্তে নামে মাঠে। শেষ পর্যন্ত সুমনের খুনি বেনাপোলের পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কামাল হোসেনসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
এছাড়া গত ১৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার সাতমাইল এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে আঁখি মণি নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের মিন্টু সরদার সৎ মেয়েকে চৌগাছার বালুহর মেলা দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে এনে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ তাকে আটকের পর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন মিন্টু সরদার।
১৭ জুলাই বিকেলে যশোর-মণিরামপুর মহাসড়কের বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের স্বদেব ভদ্রের ভাঁশ বাগান থেকে অজ্ঞাতনামা একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করা হলেও গত ৫ মাসে ওই লাশের পরিচয় সনাক্ত বা খুনিদের চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।
৪ নভেম্বর কেশবপুর উপজেলার কন্দর্পপুর গ্রাম থেকে অজ্ঞাতনামা (৬৭) এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় আজও পাওয়া যায়নি।
অভয়নগর উপজেলার দিয়াপাড়া ভৈরব নদের তীরে সরিষা ক্ষেত থেকে অজ্ঞাতনামা (৩৫) এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পরোকীয়ার জেরে ২৬ জুন সন্ধ্যায় মণিরামপুরের মেসার্স ভাই ভাই গোল্ডেন ফিস মাছের আড়তের ম্যানেজার জসিম উদ্দিন যশোর শহরে খুন হন।
স্থানীয় আধিপত্য এবং এলাকার ছাত্রাবাস দখল নিয়ে ১৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে যশোর শহরের মুজিব সড়কে রিপন হোসেন নামে এক লেদ মিস্ত্রিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে খড়কির সন্ত্রাসীরা। এ হত্যা মামলায় তানমীন ও মুই সাগর নামে দুইজন আসামিকে আটক করলেও মূল খুনি পিচ্চি রাজাসহ ৯ আসামি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। অন্যরা হলো, শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়া বাঁশতলার হাসিব হোসেন, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার দেলোয়ার হোসেন দেলু, পিচ্চি রাজা, মণি সাগর, খড়কির সাকলাইন, জিসান হোসেন, খড়কির বিল্লাল, রানা ও ঘোপের আরিফ হোসেন। এরা সবাই কিশোর সন্ত্রাসী।
১২ জুলাই রাতে স্ত্রীর সাথে দ্বন্দ্বের কারণে খুন হন ঝিকরগাছা দিকদানা গ্রামের আক্তারুল ইসলাম। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শামীমা নাসরিন ও তার ভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন আক্তারুলের মা।
২৫ জুলাই মায়ের প্রেমিক মজনুর রহমান ধর্ষণের পর হত্যা করে আমেনা খাতুনকে। সদর উপজেলার কিসমত রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আমেনার মা রোজিনা খাতুন ও তার প্রেমিক মজনুর রহমান হাজতে রয়েছেন।
বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হওয়ার দুইদিন পরে চালক বুলবুল হোসেনের অর্ধগলিত লাশ ১০ জুলাই সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের পাট ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত বুলবুল হোসেন একই উপজেলার কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
৮ অক্টোবর রাতে চৌগাছার বহুলালোচিত মাকাপুর গ্রামের হায়দার আলীকে হত্যার অভিযোগে লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার ছেলেসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করা হয়। নিহত হায়দার আলীর স্ত্রী লতিফা হায়দার এই মামলাটি করেছিলেন।
পরোকীয়ার বাধা দেয়ায় স্বামী জহির হাসান গাজীকে ৯ মে শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এসিড পুশ করে হত্যা করে স্ত্রী শেফালী ও তার প্রেমিক রবিউল ইসলাম। তারা দু’জনেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। নিহত জহির হাসান যশোর শহরের বকচর হুশতলার মৃত হোসেন আলী গাজীর ছেলে।
গত ২৩ আগস্ট রাতে যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় খুন হন মাসুদ রানা নামে এক কাঠ ব্যবসায়ী। এই ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে ডাকাত সন্দেহে গণটিুনিতে নিহতের দাবি ছিল ওই এলাকার সন্ত্রাসী মুরাদ, বাবু, পিন্টু, শিমুল, আলামিন ও রাজু এবং তার সহযোগিদের। কিন্তু পুলিশি তদন্তে ডাকাতি নয় বরং পূর্ব আক্রশে ওই সন্ত্রাসীরা মাসুদকে হত্যা করেছে বলে উঠে আসে।
বাঁওড় দখলকে কেন্দ্র করে ৭ জুলাই রাতে সদর উপজেলার কায়েখালী গ্রামে আব্দুর রহিম লস্কার খুন হন। কিন্তু পুলিশ কোনো আসামিকে আজও আটক করতে পারেনি। গত ১৩ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার বানিয়ারগাতি গ্রামের আনারুল ইসলাম নামে এক দিনমজুরকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
গত ১৪ মে দুপুরে যশোর সদরের লেবুতলার পাটক্ষেত থেকে আনোয়ার হোসেন (৭০) নামে এক ব্যক্তি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আনোয়ার হোসেন ঢাকার দোহার উপজেলার মধুরখোলা গ্রামের বাসিন্দা।
২২ মে যশোরের শেখহাটি গ্রামের হঠাৎপাড়ায় নিজঘর থেকে আবু বক্কর (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত আবু বক্কর মাগুরার শালিখা উপজেলার সাবলাট গ্রামের মৃত লোকমান মোল্যার ছেলে।
১৬ মার্চ মণিরামপুরের পাঁচাকড়ি গ্রামে নাওয়াল জামান বরিষা নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বারে বারে টাকা দাবি করায় মণিরামপুরের কুচলিয়া গ্রামে ৫ এপ্রিল দেবী টিকাদার নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করে প্রেমিক চরমপন্থী দলের সদস্য পাচু বিশ^াস।
গত ৩ নভেম্বর যশোরের অভয়নগরে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমান জিয়াকে প্রকাশ্যে বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহত জিয়া উপজেলার রানাগাতি গ্রামের ওহাব ফকিরের ছেলে।
৩০ জুন সন্ধ্যায় চৌগাছার মুক্তদহ গ্রামে ইসমত আরা (২৮) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী মজনুর রহমান, শ^শুর আনিছুর রহমান ও শাশুড়ি হালিমা খাতুনকে আটক করে পুলিশ।
২ জানুয়ারি বাঘারপাড়া উপজেলার সৈয়দ মাহমুদপুর গ্রামে ইভা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
৪ অক্টোবর ভোরে বাঘারপাড়ায় ফারজানা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িসহ ৬জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করা হয়।
গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় স্যালো ইঞ্জিন চুরির অভিযোগে খুলনার কয়রা উপজেলার অর্জুনপুর গ্রামের বাসিন্দা ফরিদ গাজী নামে এক যুবককে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা লাশ ফেলে রাখে যশোর অভয়নগরের ভৈরব সেতু সংলগ্ন সাহারা গ্রুপের সরিষা ক্ষেতে।
গত ৮ ডিসেম্বর সকালে মণিরামপুরের সাতনল-জোড়াপোল নামকস্থান থেকে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জাহাঙ্গীর একই উপজেলার পাড়িয়ালি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল হক দফাদারের ছেলে। প্রেমের সম্পর্কে দুরত্ব সৃষ্টি হওয়ায় যশোর পলিটেকনিক কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জেসমিন আক্তারকে গলা কেটে হত্যার ১০দিন পর শার্শা উপজেলার দক্ষিণ বুরুজবাগানের আকবর আলীর বাড়ির সেফটি ট্যাংকির মধ্যে ফেলে রাখা অর্থগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জেসমিন আক্তারের প্রেমিক আহসান কবির অংকুরকে আটক করে র্যাব।
১০ অক্টোবর যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ময়মুর হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হলেও আজ পর্যন্ত হত্যার কারণ উদঘাটন এবং খুনিদের সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
।গত ২ মার্চ সকালে ঝিকরগাছার গদখালীর রাশেদ উদ্দিন ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলে পরদিন সকালে অভয়নগরের ধোপাদী এলাকার একটি মাছের ঘের থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত ৯ নভেম্বর রাতে শহরের চুড়িপট্টিতে প্রকাশ্যে দোকান কর্মচারী রাজিম ওরফে সাজেদকে হত্যা করে কিশোর গ্যাংয়ের কয়েক সদস্য। রাজিম যশোর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। এই ঘটনায় রাজিমের সহকর্মী শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়ার আজাহার আলী পায়েল, শিমুল গাজী, পূর্ববারান্দীপাড়ার রায়হান ও ঝুমঝুমপুর চান্দের মোড়ের রায়েব সিদ্দিক। কিন্তু এই হত্যাণ্ডের মূল ইয়ামিন পারভেজকে আজও আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২৬ জানুয়ারি রাতে অভয়নগরের চেঙ্গুটিয়ায় ফ্রিজে আদা রাখাকে কেন্দ্র করে রাজু মোল্যা নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করে ভাইপো রাকিব।
২৫ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে চৌগাছার বড়কাবিলপুর গ্রামের গৃহবধূ রহিমা খাতুন খুন হন।
৭ জুলাই রাতে মাদক কারবারি ভাগ্নেদের মারপিটের শিকার হয়ে মারা যান রুস্তুম আলী (৪৫)।
২২ মে যশোর শহরের পুরাতন কসবা থেকে ইজিবাইকচালক শফিকুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপশহর সি ব¬কের ৭৫-৭৬ নম্বর বাড়ির মৃত মোকশেদ আলীর ছেলে।
৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে যশোর শহরের বড় বাজার কালী মন্দিরের পিছনে ভৈরব নদ থেকে শুকুর আলী (২৪) নামে এক ফেরিওয়ালার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চান্দুটিয়া-মঠবাড়ি গ্রামের মাঝে বুকভরা বাওড়ের পাশে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে দুবাই প্রবাসী সোহেল রানাকে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মীম এবং তার প্রেমিক ফারাবিকে পুলিশ আটক করে। নিহত সোহেল রানা একই উপজেলার হালসা গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে।
১৮ অক্টোবর সকালে বেনাপোলের বড়িভাঙ্গা গ্রামের কাঁচা রাস্তার পাশ থেকে সজিব নামে এক ইজিবাইক চালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মাদকের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড বলে আটক চার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।
২০ এপ্রিল যশোরে সলেমান মিয়া নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
১১ জানুয়ারি অভয়নগরের দামুখালী বাজারে মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী সুব্রত মন্ডলকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
৬ মার্চ সকালে অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে পালপাড়া থেকে শুকুরন বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিয়ের মাত্র সাড়ে তিন মাসের মাথায় ৮ জুলাই তানজিলা আক্তার তানিয়া নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী মেহেদীকে আটক করে পুলিশ।
৩১ মার্চ রাতে যশোর সদরের ঘুরুলিয়া গ্রামে ছোট ভাই ইউসুফের ছুরিকাঘাতে নিহত হন বড়ভাই ইউনুস আলী (২৪)
এবং যশোর শহরের বারান্দি নাথপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তরফ নওয়াপাড়া এলাকার রেজাউল ইসলাম বাচ্চুর ছেলে নাহিদ হাসান (১৪)।
২৭ এপ্রিল যশোর শহরের বেজপাড়ায় ফারহানা পারভীন উর্মি নামে ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
২১ মার্চ বিকেলে কেশবপুরের আড়ুয়া গ্রামে চা বিক্রেতা মনিরুজ্জামান জিল্লুকে হত্যা করে বাড়ির পাশে বাঁশবাগানে রাখে সন্ত্রাসীরা।
বিশেষ করে, যশোর শহর এবং শহরতলিতে বেশ কিছু হত্যার পেছনে কিশোর গ্যাংয়ের ভূমিকা রয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন জানিয়েছেন যে, অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে এবং খুনিরা আটক হয়েছেন, তবে কিছু অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

