ডলারের রেকর্ড পতনে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা

আরো পড়ুন

২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে মার্কিন ডলারের দাম ১০ শতাংশের বেশি কমে গেছে, যা ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় দরপতন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের মুদ্রার বিপরীতে এই পতন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিই নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতিকেও বড় ধরনের চাপে ফেলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একতরফা ও আক্রমণাত্মক বাণিজ্যনীতি, উচ্চ শুল্ক, সরকারি ঋণের চাপ ও মূল্যস্ফীতির শঙ্কাই এই দুর্বলতার প্রধান কারণ। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস পেয়েছে এবং বিদেশি বিনিয়োগে ভাটা পড়েছে।

মুদ্রার পতনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ডলারের দরপতনে আমদানির খরচ বেড়ে গেছে, যদিও রপ্তানিকারকরা কিছুটা লাভবান হয়েছেন। মার্কিন শেয়ারবাজার এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ২৪ শতাংশ বাড়লেও ইউরোর হিসেবে এই লাভ দাঁড়ায় মাত্র ১৫ শতাংশে। বিপরীতে, ইউরোপের ইউরোস্টক্স ৬০০ সূচকের প্রকৃত মুনাফা ডলারে রূপান্তরে ২৩ শতাংশ—যা বিদেশি বাজারে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়াচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে আস্থার সংকট

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বিশ্লেষক স্টিভ ইংল্যান্ডার বলেন, “ডলার দুর্বল না শক্তিশালী—মূল প্রশ্ন হলো বিশ্ব এই দুর্বলতাকে কীভাবে দেখছে।”

ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণায় বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এতে বিদেশি ব্যবসায়ীরা ডলারে লেনদেন কমিয়ে দেয় এবং সরকারি বন্ডের প্রতি আগ্রহ হ্রাস পায়।

ডলারের ‘অভিজাত’ অবস্থান এখন প্রশ্নবিদ্ধ

একসময় বিশ্ব অর্থনীতির আস্থার প্রতীক ছিল ডলার। কিন্তু ট্রাম্পের ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে আগ্রাসী নীতি এই আস্থাকে ক্ষুণ্ন করেছে। শুল্কবৃদ্ধির কারণে আমদানিতে ভাটা এবং লেনদেনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ায় ডলার আর ‘বিশ্ব অর্থনীতির ব্যতিক্রমী কেন্দ্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ