যশোর রেলগেট এলাকায় বহুল আলোচিত ও চিহ্নিত মাদক কারবারি লাইলী বেগম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, লাইলী বেগম, তার মেয়ে সুমি ও ছেলে শুকুর আলী দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে থাকলেও রহস্যজনক কারণে তারা এখনো গ্রেফতার হয়নি।
অভিযোগে জানা গেছে, লাইলী বেগমের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী এবং থানার নোটিশ বোর্ডে তার ছবি টানানো আছে। তার জামাই সোহাগের বিরুদ্ধেও রয়েছে খুনের মামলা (ধারা ৩০২/৩৪, মামলা নম্বর ৫)।
লাইলী গং মাদক ব্যবসার পাশাপাশি এখন জমি দখলসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, চাঁচড়া মৌজার ৭৭ নম্বর খতিয়ানের অধীনে ৫৪০ ও ৫৪১ দাগে ২.৭৫ শতক জমি ক্রয় করা আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। এরই অংশ হিসেবে বাড়ির সীমানার দেয়ালের উপর ও পাশের সরকারি পুকুর ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে তারা।
এছাড়াও, প্রতিবেশী রফিকুলকে মারধর, আব্দুর রাজ্জাকের পানির কল ও বাথরুমের কুয়া দখল, ও এলাকাবাসীকে অহেতুক হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে লাইলী ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, লাইলী এক সময় ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থেকে প্রভাব বিস্তার করত, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকসহ ১২টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগকারীরা দ্রুত লাইলী বেগম, তার ছেলে শুকুর আলী ও মেয়ে সুমিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সরেজমিন তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।