সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক রোগীর স্বজনরা ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে জরুরি বিভাগে কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার সকাল ১০টার দিকে। শহরের উপকণ্ঠের মাগুরা গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে শাহিনুর রহমান নামের এক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসককে না পেয়ে স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে তারা আবার জরুরি বিভাগে ফিরে এসে স্টাফদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মর্জিনা খাতুন এ ঘটনায় ১০–১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. ফয়সাল আহমেদ জানান, হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিক, হামলায় ঢাকার একজন চিকিৎসক আহত হন।
তবে মানিক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মুমূর্ষু রোগী সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, আমি এতে জড়িত নই।”
ঘটনার সময় হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জরুরি বিভাগ বন্ধ হয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়েন অনেক রোগী ও স্বজনরা। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।