আজ ১ মে, বৃহস্পতিবার—বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের রক্তঝরা সংগ্রামের স্মরণে দিনটি পালিত হয়। ১৮৮৯ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ১ মে-কে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকে বিশ্বের নানা দেশে দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশও এই আন্তর্জাতিক ঐতিহ্যের বাইরে নয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালেই প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে মে দিবস পালিত হয় এবং ওই বছরই দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এবারও অন্যান্য বছরের মতো নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
মে দিবসের পেছনে রয়েছে শ্রমজীবী মানুষের দীর্ঘ সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস। ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেন। শিকাগো শহরের ‘হে মার্কেট’ বিক্ষোভ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। পুলিশের গুলিতে ১০ জন শ্রমিক প্রাণ হারান, আহত হন আরও অনেকে। এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে শ্রমিক আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।
শ্রমিকদের এই আত্মত্যাগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি ঐতিহাসিক দাবি—দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ, যা পরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মেনে নিতে বাধ্য হয়। সেই ঐতিহাসিক রক্তঝরা সংগ্রামের সম্মানেই ১ মে আজ ‘মে দিবস’ হিসেবে স্বীকৃত ও উদযাপিত হচ্ছে।