যৌতুকের টাকার জন্য মারজান আক্তার ঝুমুর নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝুমুরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার শ্বশুর সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৮ ডিসেম্বর ফেনীর কালিদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর এলাকার কামু ভূঞা বাড়ির প্রবাসী ছায়েদুর রহমান তৌহিদের সঙ্গে ঝুমুরের বিয়ে হয়। প্রথমে স্বল্প পরিসরে বিয়ের অনুষ্ঠান হলেও, ঝুমুরের স্বামীর পরিবারের আপত্তির কারণে ২৭ ফেব্রুয়ারি বড় আয়োজন করা হয়, যাতে ২ শতাধিক লোককে দাওয়াত দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের পর ঝুমুরের স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা ৩ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ যৌতুক দাবি করেন।
কিন্তু ঝুমুরের নির্মাণ শ্রমিক বাবা তা দিতে না পারায়, স্বামী ও শ্বশুর পক্ষের লোকজন নববধূ ঝুমুরের ওপর নির্যাতন চালান। ৪ মার্চ সকালে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে স্বামী তৌহিদ, শ্বশুর সাহাব উদ্দিন এবং শাশুড়ি বিবি হাজেরা একত্রিত হয়ে ঝুমুরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
অবস্থা খারাপ হওয়ায় ঝুমুরকে প্রথমে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঝুমুরের মা ফরিদা আক্তার জানান, খবর পেয়ে তিনি মেয়েকে দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি বিস্তারিত জানার পর, ১২ মার্চ ফেনী মডেল থানায় মেয়ের জামাই তৌহিদ, শ্বশুর সাহাব উদ্দিন এবং শাশুড়ি হাজেরাকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝুমুরের মৃত্যু হয়। তার পরিবার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সামছুজ্জামান জানিয়েছেন, নববধূকে নির্যাতনের ঘটনায় শ্বশুর সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।