মাগুরার সেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানান, শিশুটির মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়েছে।
চিকিৎসকদের মতামত
মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, গতকাল (সোমবার) শিশুটির সামান্য উন্নতি হয়েছিল, তবে আজ তার মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়েছে। শিশুটিকে যখন ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তখন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয় এবং তাকে পরদিন দুপুর ১১টা পর্যন্ত তীব্র অক্সিজেন অভাবে ফেলে রাখা হয়েছিল। এর ফলে শিশুর মস্তিষ্কে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) গতকাল সকালে ৩ থেকে ৫ এ উঠেছিল, যা কিছুটা উন্নতি হিসেবে ধরা হয়েছিল। তবে আজ শিশুটির জিসিএস আবারও ৩ এ নেমে গেছে, যা মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা হিসেবে ধরা হয়।
মামলা ও গ্রেপ্তার
শিশুটির মামাতো ভাই জানান, চিকিৎসকরা তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে বলেছেন যে শিশুটির শারীরিক অবস্থা এখন ভালো নয়। শিশুটির মা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুর গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন।
চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ বোর্ড
শিশুটির চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে, যাতে সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা, প্লাস্টিক সার্জন, শিশু নিউরোলজি, অ্যানেসথেসিয়া, শিশু হৃদ্রোগসহ একাধিক বিভাগের চিকিৎসকরা আছেন।
মেডিকেল ইতিহাস
গত বৃহস্পতিবার শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়, এবং রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্ট নেওয়া হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, যেখানে সে এখনও লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।