যশোর শহরের বকচর এলাকায় দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাই গাড়ি বিকিকিনি এবং যন্ত্রাংশ বিক্রির একটি সিন্ডিকেট। ১০-১২ সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে।
- লক্ষীপুর থেকে চুরি হওয়া একটি ট্রাকের খোঁজে অভিযান চালানো হয়, যেখানে যশোরের বকচর এলাকায় চোরাই ট্রাকের বিভিন্ন খণ্ড উদ্ধার করা হয়।
- ১ ও ২ মার্চ যৌথ অভিযান চালিয়ে লক্ষীপুর সদর থানা পুলিশ এবং যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ ট্রাকের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে। তবে অভিযানের খবর পেয়ে চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্য রাজকুমার পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছে যে, পুরাতন লোহা ও মোটর পার্টস ব্যবসায়ী সমিতির কিছু সদস্য এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এবং তারা পুলিশের তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
- রাজকুমার, যিনি চক্রের মূল হোতা বলে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে পালানোর অভিযোগ রয়েছে।গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে চুরি হওয়া গাড়ি যশোরের বকচর এলাকায় এনে খণ্ড করে বিক্রি করছে।
- কিছু পুরোনো সদস্য গা ঢাকা দিলেও নতুন সদস্যরা সক্রিয়ভাবে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি কাজী বাবুল হোসেন জানান, বকচর এলাকায় বেশ কিছু সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
- লক্ষীপুর থানার এসআই হুমায়ুন কবীর বলেন, “রাজকুমারকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
- যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই আলমগীর হোসেন জানান, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ দ্রুত চোরাই সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের আটক করার এবং আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

