যশোরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর গোপন ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ও চাঁদা দাবির অভিযোগে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এক যুবককে আটক করেছে। শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরের খড়কি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃত যুবক ইমরান ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমকোলা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণ
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া এলাকার একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ইমরান বিভিন্ন সময় বিরক্ত করতেন। তিনি ছাত্রীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে কল দিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরে একপর্যায়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গোপনে তার সঙ্গে দেখা করেন এবং ভিডিও কলে কথা বলেন। এসময় কৌশলে ছাত্রীর কিছু ব্যক্তিগত ও আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
পরে সেসব ছবি ও ভিডিওকে হাতিয়ার বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন ইমরান। সর্বশেষ গত ২৮ জানুয়ারি রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর কয়েকজন আত্মীয়ের মোবাইলে ‘ইমো’ অ্যাপের মাধ্যমে ওই ভিডিও ও ছবি পাঠিয়ে ৮ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগীর পরিবার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ইমরানকে শনাক্ত করে যশোর শহরের খড়কি এলাকা থেকে আটক করে।
অভিযুক্তের পরিবারের দাবি
এদিকে, ইমরানের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে তিনি ওই ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে করেছেন। ইমরান বিদেশে থাকার সময় ছাত্রীর পরিবারকে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠিয়েছিলেন। তবে দেশে ফেরার পর ছাত্রী ও তার পরিবার প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইমরানের স্বজনেরা।
তদন্ত চলছে
কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ইমরানকে আটক করা হয়েছে এবং বিস্তারিত তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।