সদর উপজেলার একটি পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী 

আরো পড়ুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামে একটি পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। এঘটনায় যশোর কোতয়ালী মডেল থানা অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।

অভিযোগে উল্লেখ্য, আড়পাড়া গ্রামের শওকত আলী ও তার ছেলে তরিকুল ইসলাম, খালিদ এবং রহিদুল পুলিশের চাকরির করায় এলাকার মানুষের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল করে। এমনকি প্রতিবেশীদের ঘর-বাড়ী ভাংচুর, মারপিট ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ্য, তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলেই দা এবং সাফল নিয়ে মারধর করার ভয় দেখায়। আবার পুলিশকে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এভাবে তারা গ্রামের মানুষদের জিম্মি করে রেখেছে। এমনকি তারা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথাও তোয়াক্কা করে না। গ্রামের মানুষের নামে মিথ্যা মামলা করে। আবার সেই মামলা থেকে খালাস পেতে তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়।

আড়পাড়া গ্রামের মামুন বলেন, আমার বাবার কিনা সম্পত্তি, যার মূল দলিল রয়েছে। অথচ গায়ের জোরে শওকত আলী ও তার ছেলেরা দখল করতে চাইছে। ৫ শতক জমির উপর মেহগুনি গাছ লাগানো ছিল তারা জোরপূর্বক বিক্রি করেছে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গত ৭ আগস্ট জমির দলিল পত্র দেখে দখলে দিয়ে যায়। তবে গত শুক্রবারে শওকত আলী এবং তার ছেলেরা আমার গাছ কেটেছে। আর আমার চাচার বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। তারা আমাদেরসহ গ্রামের মানুষের এই ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছে।

জহুরুল ইসলাম মুক্ত বলেন, শওকত আলী ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা কার্ড তৈরি করার জন্য অন্তত ১২-১৩ জনের নিকট হতে ৬০ এবং ৭০ হাজার করে টাকা নিয়েছে। আবার তার তিন ছেলে পুলিশের চাকরি করে। তারাও পুলিশের চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন লোকের নিকট হতে টাকা নিয়েছে।

রিফাত হোসেন বলেন, তিন ভাই গ্রামে এসে মানুষের সব সময় পুলিশের ভয় দেখায়। তারা বিভিন্ন মানুষের নিকট হতে অবৈধ জমিজমা দখল করেছে। এমন কি এখনো দখল করার চেষ্টা করছে।

আজিজুল ইসলাম বলেন, এরা তিন ভাই গ্রামের আসলে মানুষ আতঙ্কে থাকে। তাদের সামনে কেউ যাই না ভয়ে। এদের মধ্যে কোন সামাজিকতা নেই।

সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার পিতা একটি জমি কেনে। আর এ জমি দখলে করে নেন শওকত আলী তার তিন ছেলে। আর এ কারণে আমার পিতা গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তাদের কারণে।

এ বিষয়ে শওকত আলীর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি রাজি হয়নি।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ