চুড়িপট্টিতে ব্যবসায়ীদের থেকে চাঁদা আদায়: টিএসআই রফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আরো পড়ুন

যশোরের আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা টিএসআই রফিক এক বছরে চুড়িপট্টি এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে এবং বিভিন্ন অজুহাতে তিনি তাদের কাছ থেকে এ অর্থ আদায় করেছেন।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ

মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজের মালিক মেহেদী হাসান জানান, চাঁদা দিতে দেরি করায় তাকে অজ্ঞাতস্থানে আটক রাখা হয়। পরবর্তীতে তার স্ত্রী ধারদেনা করে তিন লাখ টাকা দিয়ে তাকে মুক্ত করেন। এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন আরো অনেক ব্যবসায়ী, যেমন মেসার্স আরাফাত স্টোরের আমিনুল ইসলাম ও মিন্টু স্টোরের মালিক মিন্টু।

দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, রফিক ও তার স্ত্রীর নামে বিপুল সম্পত্তি, যার মধ্যে গোপালগঞ্জে সাততলা ভবন, যশোরে ছয়তলা বাড়ি, ঢাকায় ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থানে জমি ও বাড়ি রয়েছে।

বর্তমানে ফরিদপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত রফিকের বিরুদ্ধে আদালত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ব্যবসায়ীদের দাবি

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এখন তাদের টাকা ফেরত চাচ্ছেন এবং রফিকের শাস্তির দাবি করছেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে যশোর জেলা পুলিশ প্রশাসনের কেউ অফিসিয়াল বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তারা রফিকের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।

জাগো/মেহেদী

আরো পড়ুন

সর্বশেষ