বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এই ইন্টারনেট বন্ধের উদ্দেশ্য ছিল জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার তথ্য গোপন করা। তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই গণহত্যার বিচার বাধাগ্রস্ত করার যে কোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এদিন নির্দেশ দেন, জুলাই গণহত্যায় দায়ের করা মামলায় সাবেক এসপি আবদুল্লাহ আল কাফিকে ২৬ ডিসেম্বর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলামকে ২৫ ডিসেম্বর এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ৩০ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে হবে।
এর আগে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আট জন সরকারি কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে ছিলেন সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না এবং অভিযুক্তদের বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা কোনোভাবেই সফল হবে না।