পুলিশ কর্মকর্তাসহ আ’লীগের ৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আরো পড়ুন

যশোরের মণিরামপুরে মোন্তাজ আলীকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাসহ আওয়ামী লীগের ৫০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

রোববার নিহতের ছেলে ইন্তাজুল ইসলাম যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুর রহমানের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মণিরামপুর থানার ওসিকে অভিযোগের বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মণিরামপুরের খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এসআই আইন উদ্দিন, কনস্টেবল মিন্টু হোসেন, গাঙ্গুলিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন লিটন, হেলাঞ্চী গ্রামের আব্দুল আলিম জিন্নাহ, সিদ্দিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আব্বাস সরদার, মাহাবুবুর রহমান মনা, অশোক মল্লিক, রনি, রামনাথপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, মকবুল হোসেন, খেদাপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন, তারকনাথ, পরিমল পাল, সাধন, ইকবাল হোসেন, জুয়েল, টিটু ফকির, রাকিব হোসেন, মহসিন ওরফে জয়নাল, দেবব্রত, কাঁঠালতলা গ্রামের আবুল হোসেন, চাকলা গ্রামের আফজাল খা, খড়িঞ্চি গ্রামের ডাবলু, শামসুর রহমান, রাজা, জামালপুর গ্রামের কামাল হোসেন, মিকাইল, দিঘীরপাড়া গ্রামের এমদাদুল সরদার, আমিন হোসেন, মোবারকপুর গ্রামের রুবেল হোসেন, কেসমত, খায়রুল, আজিবর রহমান, কোদলাপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমান, শহিদুল ইসলাম, গালদা গ্রামের আশরাফুল, লক্ষীকান্তপুর গ্রামের মখলেসুর রহমান, পারখাজুরা গ্রামের সরোয়ার, কাশিপুর গ্রামের ফারুক হোসেন, খড়িঞ্চি গ্রামের মোস্তফা, কাজল, গরীবপুর গ্রামের হাসেম, চাঁদপুর গ্রামের সাগর, রুপসপুর গ্রামের ইরশাদ আলী, চন্দ্রপুর গ্রামের কামাল হোসেন ও ঝিকরগাছার মহিনীকাঠি গ্রামের আফতাব আলী।

ঘটনার বিবরণ:
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৯ জুন সকালে মোন্তাজ আলী গাঙ্গুলিয়া গ্রামের আমতলায় শামছুদ্দিনের সেলুনে চুল কাটাতে যান। সেলুনে চুল কাটার সময় খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আইন উদ্দিন ও কনস্টেবল মিন্টু হোসেনের সহযোগিতায় বাকি আসামিরা মোন্তাজ আলীর ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে এসআই আইন উদ্দিন ও কনস্টেবল মিন্টু হোসেন অস্ত্রের মুখে মোন্তাজ আলীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে মোন্তাজ আলীর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। পরে ১৪ জুন সকালে মোন্তাজ আলীর ভাই ইছাহক আলী জানতে পারেন, যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে মোন্তাজ আলীর লাশ রয়েছে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় সে সময় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় নিহতের পরিবার আদালতে মামলা করেছেন।

 

আরো পড়ুন

সর্বশেষ