মেয়র-চেয়ারম্যান পদে সরাসরি ভোট নয়, সংসদীয় পদ্ধতির ভাবনা

আরো পড়ুন

জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও সংসদীয় পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা করছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ প্রস্তাবনায় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরাসরি মেয়র বা চেয়ারম্যান পদে ভোট না হয়ে সদস্য বা কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। নির্বাচিত কাউন্সিলর বা সদস্যরা পরবর্তীতে মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন।নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অন্যতম সদস্য এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ এ বিষয়ে গতকাল শনিবার নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে জানান।

মেয়র ও চেয়ারম্যানরা সরাসরি জনগণের কাছে নয়, বরং কাউন্সিলর বা সদস্যদের কাছে জবাবদিহি করবেন।

আস্থা হারালে মেয়র বা চেয়ারম্যান পদ শূন্য হবে, তবে তারা সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন।সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন একই আইন এবং সময়ের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।

ড. আহমেদ বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে স্থানীয় নির্বাচনে ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় এবং ২০ লাখ লোকবল প্রয়োজন। প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে এই ব্যয় ৬০০ কোটি টাকায় নেমে আসবে এবং লোকবল লাগবে আট লাখ। সময়ও কমে আসবে মাত্র ৪৫ দিনে।

ড. আহমেদ পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে কাউন্সিলররা মেয়র নির্বাচিত করেন। মেয়রদের দায়িত্ব পালনের সময় পরিষদে জবাবদিহি করতে হয়। এ পদ্ধতি স্থানীয় সরকারকে প্রাণবন্ত রাখে।

স্থানীয় সরকার ও সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব বিভাজনের বিষয়ে ড. আহমেদ বলেন, সাংবিধানিকভাবে এমপিদের উন্নয়নমূলক কাজে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ নেই। তাদের কাজ জাতীয় সরকারের কার্যক্রমের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। নতুন প্রস্তাবে এই দ্বন্দ্ব দূর হবে।

ড. আহমেদ জানান, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করে নতুন পদ্ধতি চালু করতে অধ্যাদেশ জারি করা হতে পারে।এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সাশ্রয়ী ও কার্যকর হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় উন্নতি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাগো/মেহেদী

আরো পড়ুন

সর্বশেষ