আজ বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত হয়, যা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের জন্য বয়সসীমা ৩২ বছর হবে। তবে, চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা অপরিবর্তিত থাকবে।
এছাড়া, নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনবার অংশ নিতে পারবে। এটি ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর আওতায় এসেছে।
উল্লেখ্য, পূর্বে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছেলেদের জন্য ৩৫ বছর এবং মেয়েদের জন্য ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এই নতুন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’। সংগঠনের নেতারা ৩২ বছর বয়সসীমাকে গ্রহণযোগ্য মনে করছেন না এবং স্থায়ীভাবে ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়েছেন।
শিগগিরই এ বিষয়ে আলোচনা করতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিষদের আহ্বায়ক মো. শরিফুল হাসান শুভ।