বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে ঘাতক সন্দেহে লেদো নামে আরও একজন গণপিটুনিতে মারা গেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সদরের গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।এর আগে সোমবার রাত ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল করে এসে মিজানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরিভাবে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মিজান গোকুল উত্তরপাড়ার আফসার আলীর ছেলে।
এদিকে ঘাতক সন্দেহে রাতেই গোকুল এলাকায় স্থানীয় লোকজন লেদোকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত লেদোকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ভর্তির আগেই সেখানে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ লোকজন লেদোকে আবার মারধর করে। এরপর রাত আনুমানিক ১১টায় লেদো মারা যায় বলে মেডিকেল ফাঁড়ির এসআই রুবেল হোসেন নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজান রাত ৮টার দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে ৬-৭ জনের সাথে বসে গল্প করছিলেন, এসময় বিদ্যুৎ ছিল না। তখন কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল করে এসে মিজান ও তার বন্ধুদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা মিজানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। স্থানীয়রা আরও জানায়, কয়েক মাস আগেও তাকে হত্যার জন্য তার ওপর হামলা করা হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তার মৃত্যুর খবর শুনে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছুটে যান বগুড়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের তদন্তের বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কাজ শুরু করেছেন। হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’