ঝিকরগাছায় তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ফুফাতো ভাই আটক

আরো পড়ুন

যশোরের ঝিকরগাছায় এক তরুণীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে তার ফুফাতো ভাই মোঃ নাজমুস সাকিব ওরফে নয়নকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৮ জুন, ২০২৫ তারিখে সকালে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন সকাল আনুমানিক ৬টায় বাদীর ভগ্নিপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন তার বাড়ির পশ্চিম পাশের পুকুরে ওই তরুণীকে উপুড় হয়ে ভাসতে দেখে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং ভিকটিমের মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন যে, তরুণীর ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন এবং মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।

ঘটনাটি ঝিকরগাছা থানা পুলিশকে জানানো হলে, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে জেলার পুলিশ সুপার জনাব রওনক জাহান মহোদয় ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং আসামি গ্রেপ্তারের জন্য ঝিকরগাছা থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেন। এই নির্দেশনার ভিত্তিতে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) পলাশ দাস এবং সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি দল গত ১১ জুন, ২০২৫ তারিখে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে অভিযান চালায়। অভিযানে ভিকটিমের ফুফাতো ভাই নাজমুস সাকিব ওরফে নয়নকে তার বসতবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে পুলিশকে জানায়, ঘটনার দিন সে তার মামাতো ভাই রিয়াজকে মামাবাড়ি পৌঁছে দিয়ে বাড়িতে ফিরে দেখে তার ছোট বোন রুমে ঘুমাচ্ছে এবং বাইরে মামাতো বোন (ভিকটিম) দোলনায় দোল খাচ্ছে। ভিকটিমকে একা দেখে তার মনে যৌন বাসনা জাগে। এরপর সে ভিকটিমকে জাপটে ধরে তার রুমে নিয়ে যায় এবং গলা ও মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

নয়ন আরও জানায়, একপর্যায়ে ভিকটিম শ্বাসরোধে মারা গেলে সে মৃতদেহ বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর সে তার বোনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ঘটনাটি গোপন করতে ভিকটিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মিথ্যা গল্প সাজায়। পরে নয়ন তার বোনকে নিয়ে মামাবাড়ি যায় এবং সেখানেও ভিকটিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাজমুস সাকিব ওরফে নয়নকে (পিতা-মোঃ ইলিয়াস রহমান) বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ