ভারতের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পরদিনই পাকিস্তানের একাধিক শহরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডব্লিউআইওএন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের লাহোর, করাচি, শিয়ালকোট, রাওয়ালপিন্ডি, গুজরানওয়ালা ও অন্যান্য শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
লাহোরের ওয়ালটন রোড সংলগ্ন সামরিক বিমানবন্দরের কাছে পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয়রা প্রচণ্ড শব্দ ও সাইরেনের আওয়াজ শুনেছেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা একটি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যা ওই বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।
একই সময়ে গুজরানওয়ালায়ও দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সেনা সূত্রে জানা গেছে, গুজরাট জেলার ডিঙ্গা গ্রামে একটি ভারতীয় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের দাবি, গুজরানওয়ালার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ভারতের একটি ড্রোন আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে সেটিকে গুলি করে নামানো হয়।
এছাড়া করাচির শরাফি গোথ এলাকায়ও একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে করাচির বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি এবং স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত চালাচ্ছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী, দেশব্যাপী মোট ১২টি স্থানে ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লাহোর, গুজরানওয়ালা, চকওয়াল, রাওয়ালপিন্ডি, বাহাওয়ালপুর ও করাচি।
এই পরিস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।