জনবিচ্ছিন্ন কাজী নাবিল জনতার চোখের আড়ালে করেছেন জুলুমবাজি, পঞ্চগড়ে সম্পদের পাহাড়

আরো পড়ুন

কাজী নাবিল আহমেদ একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, যিনি যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ ১০ বছর ৬ মাস ধরে। তবে তার জনপ্রতিনিধিত্ব নিয়ে জনসাধারণের অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি সাধারণ মানুষের থেকে বরাবরই বিচ্ছিন্ন ছিলেন এবং জনগণের সাথে তার সরাসরি যোগাযোগের অভাব ছিল। দলীয় কর্মীদের দৌঁড় তার ব্যক্তিগত সহকারী সুজন সাত্তারের কাছ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকতো, যার ফলে অনেকেই তার সরাসরি সাক্ষাত পেতেন না।

কাজী নাবিলের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও স্বাক্ষরের বিনিময়ে অর্থ আদায় করার অভিযোগও রয়েছে। তার নিয়োগ বাণিজ্য এবং অন্যান্য আর্থিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রচুর অবৈধ সম্পদ অর্জনের খবর রয়েছে। যশোরে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নমূলক কাজ না করলেও, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তিনি ১৩শ একর জমি নিয়ে কাজী এ্যাস্টেট নামক বিশাল সম্পত্তি গড়েছেন। জমি দখল করে চা বাগান, রিসোর্টসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব জমি দখলে অসংখ্য পরিবার ভুক্তভোগী হয়েছে এবং অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কাজী নাবিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধু অর্থনৈতিক দুর্নীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তিনি যশোরে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। টর্চারসেল পরিচালনা, মাদক ব্যবসা, এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক কাজের জন্য তার ক্যাডার বাহিনী ছিল বিশেষভাবে কুখ্যাত।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে কাজী নাবিল আত্মগোপনে আছেন, এবং তার অনেক সহযোগী গা ঢাকা দিয়েছে। তবে স্থানীয়রা বলছে, তার অনুসারীদের মধ্যে কিছু লোক প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে, যদিও তার পরিবার এবং প্রধান ফটক বন্ধ রয়েছে।

জাগো/মেহেদেী

আরো পড়ুন

সর্বশেষ