বিদেশি পর্যটকের খরা কাটাতে নতুনভাবে প্রস্তুত হচ্ছে কক্সবাজার

আরো পড়ুন

জাগো ডেস্ক : নিজ দেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইটে এসে সমুদ্র ছুঁয়ে কক্সবাজারে নামবে একজন বিদেশি পর্যটক। সমুদ্র দেখবে, আমোদ-ফুর্তি করবে। দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে কক্সবাজার থেকেই আবার ফিরে যাবে নিজ দেশে— এমনভাবেই কক্সবাজারকে সিঙ্গেল টুরিস্ট স্পট করতে চাইছে সরকার। এক কথায় বলা যায়, বালি দ্বীপকে দিয়ে যেভাবে ইন্দোনেশিয়াকে চিনেছে পৃথিবী, একইভাবে কক্সবাজারকে দিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে নতুন করে পরিচিত হতে চায় বাংলাদেশ।

আশি ও নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপের পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য ছিল কক্সবাজার। তবে দীর্ঘ দুই দশক ধরে নানা কারণে বাংলাদেশে আসছেন না তারা। সেসব বিদেশি পর্যটক ফেরাতে চেষ্টা করছে সরকার।

ট্যুরিজম বোর্ড বলছে, পরিকল্পনা মাফিক চললে আবারও আগের মতো দেখা যাবে বিদেশি পর্যটক। তবে দেশি পর্যটক ও ট্যুর অপারেটররা বলছেন, ইউরোপ-আমেরিকার পর্যটকরা শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা সমুদ্র চায় না। এগুলোর পাশাপাশি তারা সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা, খাবার, প্রাইভেসি ও নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনা করে। এক কথায় তাদের দরকার একটি কম্বো সার্ভিস (একের মধ্যে সব)। সেই মানদণ্ডে বিবেচনা করলে বিদেশি পর্যটকদের জন্য এখনও প্রস্তুত হয়নি কক্সবাজার। পাড়ি দিতে হবে আরও অনেক পথ।

বিদেশি ট্যুরিস্ট : আগে কেমন আসত, এখন কেমন
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালের দিকে বাংলাদেশে বছরে এক লাখ ৩৯ হাজার বিদেশি পর্যটক আসে। সে সময় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রতি বছর পাঁচ থেকে সাত লাখ বিদেশি পর্যটক আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলেও বাস্তবে এটি সম্ভব হয়নি।

ট্যুরিজম বোর্ড বলছে, সর্বশেষ ২০১৯ সালে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটক এসেছিল তিন লাখ ২৩ হাজার। বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটররা বলছেন, কাগজে-কলমে তিন লাখের বেশি বিদেশি পর্যটক এলেও তাদের সিংহভাগই মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে বিভিন্ন এনজিওর পক্ষ হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।

মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড বলছে, বাংলাদেশে যেসব বিদেশি পর্যটক আসছেন তাদের মধ্যে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসছেন মাত্র পাঁচ শতাংশ। বাকিরা বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প, উন্নয়ন প্রকল্প ও এনজিওর কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

দ্য গ্লোবাল ইকোনমির তথ্য বলছে, বাংলাদেশে যখন বিদেশি পর্যটকের খরা সে সময় (২০১৯ সাল) প্রতিবেশী দেশ ভারত ঘুরে গেছেন এক কোটি ৮০ লাখ, মিয়ানমার ভ্রমণ করেছেন ৪৩ লাখ পর্যটক। বাংলাদেশ থেকে অর্থনৈতিক সূচকে পিছিয়ে থাকা নেপালের মতো উন্নয়নশীল দেশে একই বছর ভ্রমণ করেছেন ১২ লাখ, মালদ্বীপে ১৭ লাখ, পাকিস্তানে নয় লাখ ৬৬ হাজার বিদেশি পর্যটক।

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ