নিজস্ব প্রতিবেদক, চৌগাছা
যশোরের চৌগাছায় ইউপি সদস্যের দায়ের কোপে ৩ জন আহত হওয়ার ঘটনায় নতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের হাউলী গ্রামের ইউপি সদস্য আলী কদরের বিরুদ্ধে এবার প্রকাশ্যে অবৈধ পিস্তল উঁচিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে গ্রামে রাস্তার সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মারামারি চলাকালীন আলী কদরের হাতে একটি ধারালো দা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি তার কোমর থেকে একটি পিস্তল বের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আরিফা বেগম জানান, “মারামারির একপর্যায়ে আলী কদর আমার ছোট ছেলে জিলকতের দিকে পিস্তল তাক করেন। ওই সময় আলী কদরের স্ত্রী সামনে এসে তাকে বাধা দিলে তিনি দ্রুত পিস্তলটি নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে যান।”
গ্রামের বাসিন্দা সালাম একই অভিযোগ করে বলেন, “আমরা সবাই দেখেছি তার বাম হাতে দা ছিল এবং হঠাৎ কোমর থেকে পিস্তল বের করেন। এলাকাবাসী দেখে ফেলেছে বুঝতে পেরে তিনি দ্রুত সটকে পড়েন।”
অবৈধ অস্ত্রের উৎস নিয়ে গুঞ্জন
গোপন সূত্রে জানা গেছে, যশোরের এক প্রভাবশালী নেতার মাধ্যমে পাশাপোল ইউনিয়নের অন্য এক নেতার হাত ধরে ৭.৬৫ মডেলের এই বিদেশি পিস্তলটি হাউলী গ্রামে আসে। অস্ত্রটি সাধারণত গ্রামের লিটন নামে এক ব্যক্তির কাছে থাকলেও মাঝেমধ্যে ইউপি সদস্য আলী কদর সেটি নিজের হেফাজতে রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে
এসব গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা যাচাই করতে ইউপি সদস্য আলী কদরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, “অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে আগে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চৌগাছায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অবৈধ পিস্তল প্রদর্শনের অভিযোগ

