কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় পারিবারিক জমি বিরোধের জেরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৪৫)–কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে রাখা হয় একটি সেপটিক ট্যাংকে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ভাশুরের স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণগ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমের সঙ্গে তার ভাশুরের স্ত্রী নুরজাহান বেগমের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধ থেকেই নুরজাহান দুই লাখ টাকা চুক্তিতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
গত ২৭ জুন সকালে নির্জন একটি বাগানে নিয়ে ফেরদৌসীকে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়।
নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। ১ জুলাই সকালে স্থানীয়রা দুর্গন্ধ পেয়ে ট্যাংকের ভেতরে মরদেহ দেখতে পায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার পর নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে নুরজাহানকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় ভাড়াটে খুনি আনোয়ার হোসেন, রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লুকে।
পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের কাছ থেকে নিহতের কানের দুল ও গলার চেইন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার চারজনকে বুধবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের মধ্যে তিনজনকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন.