যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী পুটখালী গ্রাম হয়ে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকছে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল। প্রতিদিন এই সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে চলে মাদকের পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনা, যার ফলে শার্শা এলাকায় গড়ে উঠেছে সক্রিয় মাদক চক্র।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, পুটখালী গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ইসামতি নদীতে বর্তমানে পানি না থাকায় সহজেই হেঁটে পার হওয়া যায়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারত থেকে ফেনসিডিল এনে তা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছে একাধিক যুবক। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘোনার মাঠসহ একাধিক পয়েন্ট দিয়ে ফেনসিডিল নিয়ে আসে পুটখালীর আশানুর রহমান (৩৭), জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৪), মনিরুজ্জামান ওরফে কালো মনি, আহম্মাদ আলী, কালা সাইদুল, বিশে, ওমর আলীসহ প্রায় অর্ধশত যুবক।
সূত্র আরও জানায়, পুটখালী থেকে মাদক পাচারের জন্য শার্শার বারোপোতা, বালুন্ডা, জামতলা, কন্যাদাহ, রামপুর এবং নাভারণ এলাকায় শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
পুটখালী গ্রামের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের ৮-১০টি পয়েন্ট দিয়ে চলে আসছে ফেনসিডিল। রাজনৈতিক দলের কিছু নেতার মদদ এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু সদস্যের সহায়তায় এই ব্যবসা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ রাসেল মিয়া বলেন, “গোপনে কিছু ব্যক্তি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলেও পুলিশের তৎপরতায় তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ কে.এম রবিউল ইসলাম জানান, “মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর। যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”