নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর
নদী দখল, সমবায় সমিতির সদস্যদের নদীতে নামতে না দেওয়া ও অনাবরত হুমকি ধামকির ঘটনায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে খালঘাট পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক তুহিন খান সংগঠনের সভাপতির ছেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, খালঘাট পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতির ছেলে সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মহিবুল ইসলাম খান (সাগর) সমিতির অফিস আসবাবপত্র এমনকি আর্থিক কর্মকান্ড জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা সাগরের জবর দখল প্রতিহত করার চেষ্টা করে এবং উক্ত বিষয়টি কর্তৃপক্ষ তথা উপজেলা প্রকৌশলী ও জেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করে। এতে মহিবুল ইসলাম খান সাগর সহ তাহার সহযোগিরা তাকে মুঠো ফোনে খুন গুমের হুমকি সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। উক্ত ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে। যার জিডি নং-৯৭।
তিনি আরও বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সেসহ তার ব্যবস্থাপনা কমিটির দুইজনের নামে কাটা খাল বাওড়ের ৪০ (চল্লিশ) লক্ষ টাকা লুটের অভিযোগ করেছে সাগর। অভিযোগ করেই ক্ষান্ত হয়নি সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ৪০ (চল্লিশ) লক্ষ টাকার মাছ লুটের অভিযোগে “বসুন্দিয়া কাটাখাল বাওড় নিয়ে উত্তেজনা” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করায়। উক্ত সংবাদে মাছ লুটের যে অভিযোগ করা হয়ে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উক্ত ঘটনার মাস খানেক আগে সাগর গং নদীতে বিষ প্রয়োগ করে সকল মাছ ধরে বিক্রয় করেন।
তুহিন খান তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, বসুন্দিয়া, জঙ্গলবাধাল, ঘোপেরডাঙ্গী, খুনী, দলনঘাট দিয়ে ভৈরব নদী প্রবাহিত। প্রাচীনতম নদীটির নাম পরিবর্তন করে উপজেলা মৎস্য অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কাটাখাল নাম দিয়ে ‘ক্লাইমেট স্মাট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টে’ নামে অবৈধ ভাবে ভৈরব নদীতে পাটা দিয়া মাছ চাষ করে আসছে।সরকারী জলমহল ইজারা বাদে অবৈধভাবে মাছ চাষ করা সমবায় আইনের বহিরভূত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খালঘাট পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সহ-সভাপতি রফিকুর ইসলাম খান, কোষাধক্য গোলাম মোস্তফা, সদস্য কৃপানন্দ ঘোষ, আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
জাগো/জেএইচ