মেট্রোরেলের সময় রাতে এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস কর্মজীবী মানুষের

আরো পড়ুন

মানুষ যাতে ঈদের কেনাকাটা করে সহজে স্বস্তি নিয়ে ঘরে ফিরতে পারে সে জন্য রমজান মাসে মেট্রোরেলের সময় রাতে এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দেয় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

২৭ মার্চ থেকে এ সময় বাড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলছেন এ সিদ্ধান্ত চমৎকার হয়েছে।

চাকরিজীবীরা বলছেন, মেট্রোরেলের সময় বাড়ানোয় খুব ভালো হয়েছে। একঘণ্টা সময় বাড়ানোর ফলে অফিসে যওয়ার পাশাপাশি ঘরে ফেরার সুযোগটাও তৈরি হয়েছে। এখন নিয়মিত তারা মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারবেন। তবে সময়টা আরও বাড়ানো উচিত। রাত ১১টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু থাকলে মানুষের ভোগান্তি অনেকেটাই কমবে। ঈদের পরে নতুন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই সূচি বহাল রয়েছে।

বর্তমানে ঈদের পরেও মেট্রোরেল বাড়তি সময় পর্যন্ত চলাচল করছে। মেট্রোরেল সূত্র বলছে, বাড়তি এক ঘণ্টায় কেমন যাত্রী পাওয়া যায় তার ওপর নির্ভর করে নতুন সময়সূচি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানা যায়, রমজান মাসের আগের ১৫ দিনের (১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ) হিসাব মতে দৈনিক গড়ে প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ মতো যাত্রী মেট্রোরেল ব্যবহার করেছেন। রোজা শুরুর ১৫ দিন এ সংখ্যা কিছুটা কমে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ যাত্রী চলাচল করেছেন।

১৬ রমজান থেকে মেট্রোরেলের চলাচল এক ঘণ্টা বাড়ানোর পর যাত্রীর সংখ্যা আবারও কিছুটা বেড়েছে। বর্তমান সময় সূচি অনুযায়ী দৈনিক ৪ লাখ ২৪ হাজার ৬৭২ জন যাত্রী মেট্রোরেলে করে যাতায়াত করতে পারছেন। তবে আপাতত ৫ লাখ যাত্রী বহনের লক্ষ্য ডিএমটিসিএলের। উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হলে ৬ লাখের ওপরে যাত্রী বহন করা যাবে বলে জানা যায়।

চলাচলের সময় এক ঘণ্টা বেশি বহাল থাকলে বাড়ি ফেরা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। অনেক কর্মজীবী মানুষের রাত ১০টা পর্যন্ত বাইরে কাজ থাকে। তাদের বিষয়টিও বিবেচনা রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন যাত্রীরা।

মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ানো ও চলমান যাত্রীবহনকারী বগীর সাথে নতুন বগীর সংযোজন মানুষের আগ্রহের জায়গা আরো বৃদ্ধি করবে। যানজট, গণপরিবহনে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা, আরামদায়ক যাতায়াত ও নাগরিক জীবনে সৃষ্ট ভোগান্তি নিরসনে মেট্রোরেল সময়োপযোগী একটি উপায় হিসেবে স্বস্তি ও নিরাপদে চলাচলের সুযোগ দিচ্ছে। যাত্রীর সংখ্যা ও আগ্রহের বিষয়টি বিবেচনায় এনে চলাচলের সময় ও অধিক যাত্রী ধারণের ব্যবস্থা দ্রæততার সাথে বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করেন।

সময়োপযোগী ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর বলেই মনে হচ্ছে। মেট্রোরেলসহ এসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ। যানজটের এই শহরে মেট্রোরেল যে আশির্বাদ নিয়ে এসছে তার ধারা অব্যাহত থাকুক এটাই জনগণের দাবি। তার প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় আরো কিছু পরিকল্পনায়। জানা যাচ্ছে, মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ও জাইকা ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল স্টেশন ও ৫৩টি ভ‚গর্ভস্থ স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এটা হয়ে গেলে রাজধানীবাসীর স্বস্তির যায়গাটা আরো সম্প্রসারিত হবে সে কথা বলাই বাহুল্য।

 লেখক :সেবীকা রানী, দপ্তর সম্পাদক – বিএফইউজে

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ