বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, রেল কর্তৃপক্ষ বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতেই রেলের ভাড়া বাড়িয়েছে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরীর অভিযোগ করে বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের নামে ভাড়া বৃদ্ধি করে দূরপাল্লার যাত্রাপথে রেলের ভাড়া বাসের ভাড়ার চেয়ে বেশি নির্ধারণ করেছে। রেল কর্তৃপক্ষ রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। রেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত গণবিরোধী। দুর্নীতি বন্ধ না করে ভাড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে রেলের লোকসান কমানো সম্ভব নয়। রেলপথকে অতীতের মতো নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রাখার দিকে মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির দাবি, রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক। রেলখাতে দুর্নীতি বন্ধ করুক। রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীসেবার মান উন্নত করুক।
২০১২ সালে রেলের ভাড়া ৭ থেকে ১১০ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে ৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। ভাড়া বৃদ্ধি সত্ত্বেও রেল লাভজনক হয়নি। বর্তমানে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করলে যাত্রীরা রেল বিমুখ হবে। রেলের রাজস্ব আয় কমবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লুটপাটের সুযোগ আরও বাড়বে।
জাগো/আরএইচএম