প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সাথে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাস্তুচ্যুত এই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে থাইল্যান্ডের সরকারপ্রধান সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেছি। মিয়ানমারের ওপরে থাইল্যান্ডের একটা প্রভাব আছে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিষয়টি তিনি আরও গভীরভাবে দেখবেন এবং প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল এটি।
সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।
এই সফরে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রত্যাশা করা হচ্ছে, থাইল্যান্ডের সহযোগিতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করবে।
এই প্রক্রিয়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জাগো/ আরএইচএম