ইরান ও ইসরায়েল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
ইসরায়েল ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর নিরাপত্তা পরিষদকে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য দাবি জানিয়েছে।
ইরান ইসরায়েলের গাজা উপত্যকায় হামলার প্রতিশোধে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং নিরাপত্তা পরিষদকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামী মঙ্গলবার ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে ‘অতি জরুরি’ বৈঠক ডেকেছেন।
রবিবার, ইসরায়েলের জাতিসংঘে নিযুক্ত দূত গিলাদ আরডান নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন যে ইরান “বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী তৎপরতার মদতদাতা”। তিনি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার এবং “সম্ভাব্য সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা” আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরানের জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি বলেছেন যে ইরান “আত্মরক্ষার সহজাত অধিকার চর্চা করছে”। তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যুক্তি দেখিয়েছেন যে তারা গাজা উপত্যকায় “গণহত্যা” চালাচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের লক্ষ্য হল “ওই অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমনে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবদান রাখা”।
এই ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে সংযম বজায় রাখার এবং আলোচনার মাধ্যমে তাদের মতবিরোধ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
জাগো/আরএইচএম