চুয়াডাঙ্গায় মরা মাছ নিয়ে দু’পক্ষের মারামারি

আরো পড়ুন

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইটঘাটে ‘কমলার দোহা’ নামের বিলে মরা মাছের দুর্গন্ধ ছড়ানো নিয়ে সদ্য নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও পরাজিত প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ উভয়পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন।

রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে গাইটঘাট গ্রামের কমলার দোহাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাইটঘাট গ্রামের ইলাহি বক্সের দুই ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (৫৪) ও মিকাইল ইসলাম (৪৫) ও একই গ্রামের মোস্তাফার ছেলে জালাল উদ্দিন (৩৫)।

আহত রফিকুল ইসলাম বলেন, কমলার দোহা বিলে আমার ভাই মতিয়ারের ২০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। সম্প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী গীগের সভাপতি ও বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা তার কর্মী পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামের জাফরকে দিয়ে আমার ভাইসহ বিলের অন্যান্য পার্টনারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। এরই জের ধরে সন্ধ্যার দিকে জাফর, গাইটঘাট গ্রামের জালাল, নুরুল ও রাসেল ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার হাতে ও বুকে জখম হয়েছে। আমার ভাইকেও মারধর করে তারা। এ বিষয়ে আমি সোমবার মামলা করবো।

মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আরশাদ উদ্দীন চন্দন অভিযোগ করে বলেন, কমলার দোহা বিলে মাছ নিয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহার উসকানিতে আমার কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। একজনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। শুনেছি এঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, এটা কোনো নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় না। আর আমার লোকজন কোনো হাট-ঘাট দখলের পায়তারাও করছে না। আমি জনতার ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছি। বিরোধী পক্ষ এটা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলি বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি কমলার দোহার বিলে মরা মাছ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। দুই পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাবো যাবে।

জাগো/এসআই

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ