রাজধানী ঢাকা ও সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনীকে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৮৯৮ এর বিভিন্ন ধারার অধীনে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। এসব ধারার মধ্যে রয়েছে:
– **ধারা ৬৪:** অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা।
– **ধারা ৬৫:** গ্রেপ্তারির নির্দেশনা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ক্ষমতা।
– **ধারা ৮৩ ও ৮৪:** ওয়ারেন্ট অনুমোদন ও গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ।
– **ধারা ৯৫(২):** নথিপত্রের জন্য অনুসন্ধান ও আটক করার ক্ষমতা।
– **ধারা ১০০:** ভুলভাবে বন্দী ব্যক্তিদের হাজির করার জন্য অনুসন্ধান-ওয়ারেন্ট জারি।
– **ধারা ১০৫:** সরাসরি তল্লাশির ক্ষমতা।
– **ধারা ১০৭:** শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।
– **ধারা ১২৭:** বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গের আদেশ।
– **ধারা ১৩০:** সামরিক শক্তি ব্যবহার করে বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গের ক্ষমতা।
– **ধারা ১৪২:** জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ।
এছাড়াও, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা রাখেন এবং সংঘটিত অপরাধের ভিত্তিতে সাজা দিতে পারেন, তবে কারাদণ্ড দুই বছরের বেশি হতে পারে না।