যশোরে পুলিশের সাড়াসি অভিযানে ২৫৩জন আটক- এসপি প্রলয়

আরো পড়ুন

নিজস্ব প্রতিবেদক 
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় যশোরের চলমান পুলিশের অভিযান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা মতামত উঠে আসে। একই সাথে পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে জেলা পুলিশের অবস্থান ব্যাখা করেন।

যশোর সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ও মাদক মুক্ত করা হবে
ফেব্রুয়ারি মাসে যশোর জেলা পুলিশ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানে পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন, মেহবুব রহমান ম্যানসেলসহ অন্তত ২৫৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে মাদক ও অস্ত্র। এসব ঘটনায় ১০৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জনপ্রতিনিধিদের একাংশ। ওই জনপ্রতিনিধিরা পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অপসারণ দাবি করেন।

এ বিষয়ে পুলিশের অবস্থান তুলে ধরে মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদার বলেন, আমাদের ইন্টেলিজেন্সের ভিত্তিতেই আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। সেই অভিযান চলমান আছে। যশোরের যারা চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদকাসক্ত, মাদকের গডফাদার ও আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাড়াসি অভিযান চলছে। কোন জনপ্রতিনিধি কিংবা কোন শ্রেণি পেশার মানুষের বিরুদ্ধে এই অভিযান নয়। জনপ্রতিনিধিরা সম্মানিত ব্যক্তি। আমরা অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখি। যে ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত, যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, যে মাদকের সঙ্গে জড়িত, যিনি চোরকারবারি ও জনশৃংখলা বিঘ্নে অবদান রাখেন তার বিরুদ্ধে আমাদের সুষ্পষ্ট অবস্থান। আমরা মনে করি পুলিশের চলমান অভিযানে চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন ও ম্যানসেলসহ অনেকেই গ্রেফতার করেছি। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন, আপনাদের কাছে কোন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে তথ্য থাকে আমাদের দিবেন। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিবো। আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আমরা আইনানুগভাবে, সততা ও সাহসিকতার সাথে পালন করবো। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করবো, তার অন্য যে পরিচয় থাকুক বিবেচ্য নয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, আমাদের অভিযান কোন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে নয়। আমরা শান্তি ও স্বস্তির যশোর নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযানে যশোর শহরের পাশাপাশি অন্য উপজেলায়ও চলমান রয়েছে। আরো জোরদার করা হবে।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখে প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনোতোষ বসু, সাধারণ সম্পাদক এইচআর তুহিন, সাংবাদিক সাজেদ রহমান, শিকদার খালিদ, মনিরুল ইসলাম, ইন্দ্রজিৎ রায় প্রমুখ।

জাগো/জেএইচ 

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ