যশোরে ডেকে নিয়ে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, আটক ৪

আরো পড়ুন

নিজস্ব প্রতিবেদক 
যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক যুবক খুন হয়েছেন। নিহত আকাশ হোসেন (২৮) শহরের শংকরপুর বটতলা মসজিদ এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে বটতলা মসজিদ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আটক ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। এই ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মামলা করেনি ভুক্তভোগী পরিবার। তবে এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত যুবকের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় কয়েকজন আকাশকে বাড়ি থেকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে শংকরপুর বটতলা এলাকায় যান। সেখানে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আকাশকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আকাশকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বজনরা জানান, আকাশ একই এলাকার সাব্বির ও তানভীরদের সঙ্গে চলাফেরা করতো। সম্প্রতি টিকটক পোস্টে কমেন্ট করা নিয়ে তাদের মধ্য দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরপর তানভীর হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে আকাশকে জানিয়ে দেয় আমার হাতে তোর মৃত্যু হবে। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে সাব্বির মোবাইল ফোনে আকাশকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর রাত ১টার দিকে আকাশকে বটতলা বস্তিতে নিয়ে সাব্বির, তানভির, অনিক, ছোট আকাশ, সোহানসহ ১০/১২ জন ছুরিকাঘাতে জখম করে। স্থানীয়রা আকাশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান জানান, আকাশকে রাত ১টা ৩৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। নিহতের গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, `আগের কোনো টাকাপয়সা লেনদেনের দ্বন্দ্বে আকাশকে হত্যা করা হতে পারে। আকাশ হত্যার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন জন জেলা ডিবি ও ১ জন পিবিআই আটক করেছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা তাঁর সঙ্গেই চলাফেরা করতেন। তাঁরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আকাশ হত্যাসহ তিনটি মামলার আসামি।

জাগো/জেএইচ 

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ