নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ৩৮টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত চলে লিখিত এ পরীক্ষা। এতে ২৮ হাজার ৫৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন ১৯ হাজার ৯১১ জন। এদিকে, কানের ভিতরে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছে এক যুবক। যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজে এ ঘটনা ঘটে। আটক জাহিদ হাসান সদর উপজেলার নওদাগ্রামের আবু দাউদ হোসেনের ছেলে। আটকের পর জাহিদকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে কানের ভেতর থেকে ডিভাইসটি বের করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত জাহিদকে বহিস্কার করে কলেজকর্তৃপক্ষ পুলিশে সোপর্দ করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষাতে যশোর জেলার ৩৮টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৫৫ পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা ছিলো। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৯ হাজার ৯১১ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৮ হাজার ১৪৪ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রে অবৈধপন্থা অবলম্বন করার অভিযোগে একজনকে বহিস্কার ও আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে ৫ টি কেন্দ্র ছিলো। নতুন বিজ্ঞান ভবনের ১০৫ নাম্বার কক্ষে জাহিদ হাসান নামে এক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে জাহিদের কানের মধ্যেই তার একটি ডিভাইস ছিলো। আরেকটি ছিলো পকেটে। কথা ছিলো ওই ডিভাইসের মাধ্যমে একজন প্রশ্নের উত্তর গুলো জানিয়ে দিবেন জাহিদকে। কিন্তু জাহিদ উত্তর না পেয়ে বসেই ছিলেন। দীর্ঘ সময় হলেও তিনি উত্তর পত্রে কিছুই লিখছিলেন না। উত্তর পত্র দেখে সন্দেহ হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। এর মধ্যেই একটি শব্দ হওয়ায় ধরে ফেলে জাহিদকে। পরে তাকে পরীক্ষা থেকে বহিস্কার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
যশোর সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘কলেজের পাঁচটি ভবনে ৩৪শ’ পরীক্ষার্থীর ছিট ছিলো। শান্তিপূর্ণভাবে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এর মধ্যে একজন পরীক্ষার্থী কানে ইলেকট্রন ডিভাইন নিয়ে পরীক্ষা কক্ষে পরীক্ষা দেওয়ার কালে হাতেনাতে আটক করা হয়। সাথে সাথে আইনানুগভাবে যে ব্যবস্থা বহিস্কার করা হয়েছে। এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ঐ পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রে অবৈধপন্থার অভিযোগে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা করেছে। সন্ধ্যায় আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে।’
জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, ‘অবৈধ পন্থার অভিযোগে এক পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি তাদের উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এর নেপথ্যে অন্যকোনো ঘটনা রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও তারা খতিয়ে দেখছেন।’
জাগো/জেএইচ